বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরে দাবী তৃণমূলের

29th August 2020 11:49 am বাঁকুড়া
বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরে দাবী তৃণমূলের


দেবব্রত মন্ডল ও তৌসিফ আহমেদ ( বাঁকুড়া ) : 

 বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত ইন্দাস এলাকায় I অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে । তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলা হয়েছে এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল I 

বিজেপি র দলীয় কর্মসূচী সেরে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন ৩ বিজেপি কর্মী । এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার ইন্দাসের রোল এলাকায় । জখম হয়েছেন তিনজন । তাদের ইন্দাস ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন‍্য ।

ঘটনাস্থলে হাজির ইন্দাস থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । বিজেপি র অভিযোগ , ইন্দাস ব্লক বিজেপি মন্ডল ১ দলীয় কার্যালয় বিজেপি র কর্মসূচী ছিল । কর্মসূচী শেষে কয়েকজন বিজেপি কর্মী বাড়ি ফেরার পথে রোল গ্রামের কাছে ওই বিজেপি কর্মীদের ওপর কিছু তৃণমূল কর্মী  চড়াও হয় এবং ওই এলাকার একটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধোর করে । ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা গোটা এলাকায় ।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল । তাদের দাবি এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ বিজেপি র দলীয় কোন্দলের জন‍্যই ঘটেছে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হামিদ। রোল গ্রামের বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ এখনো পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়নি । তবে ঘটনাস্থলে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।